চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌ পথে ফেরি সার্ভিসের ইজারা প্রথায় গাড়ী থেকে টোল আদায় বন্ধ করা হয়েছে। গত ১০ অক্টোবর থেকে ইজারা প্রথা বাতিল করা হয়। বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা ওই টোল আদায় করছেন। জানা যায়, ইজারা প্রথার মাধ্যমে ইজারাদারগণ গাড়ি প্রতি ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা টোল আদায় করতো। বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা সরকারি নীতিমালায় গাড়ী প্রতি মাত্র ১শ’ ২৫ টাকা হারে টোল আদায় করছে। যারা টোল আদায় করছে তারা জানান, পূর্বের ইজারাদারের লোকজন গাড়ী চালকদেরকে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে তুলেছে। অনেক গাড়ী চালক সরকারি রিসিটে ১শ’ ২৫ টাকার স্থলে কম টাকা দিয়েও চলে যাচ্ছে।
এদিকে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌ-পথে বিআইডব্লিউটিএ’র তত্ত্বাবধানে দীর্ঘদিন ধরে ৬টি ফেরি গাড়ি পারাপারের জন্য চলমান অবস্থায় রয়েছে। ১৬ অক্টোবর শুক্রবার সকালে নদীর ¯্রােতধারা ও কচুরিপানার কারণে কপতি নামক ফেরীটির পাখা বিকল হয়ে যায়। যার ফলে এ ফেরিটি দু’দিন ধরে চলাচল বন্ধ রয়েছে। কামিনী, কুসুমকলি, কস্তুরি, কুমারি ও করবি ফেরি চলাচল করলেও নদীতে প্রচ- ¯্রােতধারা প্রবাহিত হওয়ার কারণে চলাচলে বিঘœ ঘটছে। তাছাড়া এসব ফেরি এতটাই দুর্বল যে ৮/১০টি গাড়ী নিয়ে নদী পারাপার করতে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হচ্ছে।
একটি সূত্র থেকে জানা যায়, চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌ-পথে চলাচলকারী এসব ফেরি ১৫/২০ বছর পূর্ব থেকেই চলাচল বঞ্চিত। কিন্তু চাঁদপুর নৌ-পথে এসব ফেরি এখনো চলাচল করাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল ১৭ অক্টোবর শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর ¯্রােত ধারার কারণে ফেরিগুলো আলুরবাজার থেকে হরিনা ঘাট আসতে গেলে রুট পরিবর্তন হয়ে নামার দিকে চলে যেতে হয়। সেখান থেকে ফেরিগুলো ঘাটে আসতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। ¯্রােতের ধারা বেড়ে গেলে কর্তৃপক্ষকে ৪/৫ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। যার ফলে হরিণা ও আলুর বাজার নদীর দু’পাড়েই কয়েকশ’ গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় দ-ায়মান অবস্থায় রয়েছে। পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের যাত্রী ও ড্রাইভাররা জানান, ফেরি চলাচলে বিলম্ব হওয়ার কারণে দীর্ঘ সময় আমাদেরকে নদীর দু’পাড়েই আটকা পড়ে থাকতে হচ্ছে। এ দুর্ভোগ থেকে আমরা পরিত্রাণ পেতে চাই।